উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল আজ রোববার প্রকাশ হবে। সকাল ১১টায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২১ সালের উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল প্রকাশ করবেন।

পরে সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলনে ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরবেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। বেলা ১২টা থেকে ফলাফল জানতে পারবে শিক্ষার্থীরা।

প্রতিবছরের মতো এবারও ঘরে বসেই মোবাইলে এবং ওয়েবসাইট থেকে ফলাফল পাওয়া যাবে। বোর্ড থেকে ফল প্রকাশ হওয়ার পর এসএমএসের মাধ্যমে জানা যাবে।

এসএমএসে সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের ফলের জন্য- HSC<>বোর্ড<>রোল<>সাল লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠিয়ে দিলে ফল পাওয়া যাবে। উদাহরণ: HSC DHA 123456 2022 টাইপ করে এসএমএস পাঠিয়ে দিন ১৬২২২ নম্বরে।

মাদ্রাসা বোর্ডের শিক্ষার্থীদের জন্য- HSC<>MAD<>রোল<>সাল লিখে পাঠিয়ে দিন ১৬২২২ নম্বরে।

টেকনিক্যাল শিক্ষা বোর্ডের জন্য- HSC<>TEC<>রোল<> সাল লিখে পাঠিয়ে দিন ১৬২২২ নম্বরে।

আর অনলাইনে ফল পেতে যেতে হবে http://www.educationboardresults.gov.bd/ ওয়েবসাইটে।

উল্লেখ্য, স্বাভাবিক সময়ে এপ্রিলে এ পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও তা শুরু হয় গত ২ ডিসেম্বর; সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে তিন বিষয়ে হয় পরীক্ষা। ২০২০ সালে দেশে কোভিড রোগী শনাক্তের আগে এসএসসি পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হলেও এইচএসসি পরীক্ষা নেয়া যায়নি।

পরে জেএসসি ও এসএসসির ফলের ভিত্তিতে ১৩ লাখ ৬৭ হাজার ৩৭৭ জন শিক্ষার্থীর সবাইকে ‘অটোপাস’ দেয়া হয়। জিপিএ-৫ পান এক লাখ ৬১ হাজার ৮০৭ জন।

তবে ২০২১ সালে পরীক্ষা ছাড়া মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের পরের ধাপে পাঠাতে চায়নি সরকার। ফলে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের অপেক্ষায় আট মাস পিছিয়ে যায় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা।

পরে উচ্চ মাধ্যমিকের এ পরীক্ষা এপ্রিলের পরিবর্তে শুরু হয় গত ২ ডিসেম্বর। এবার ২ হাজার ৬২১টি কেন্দ্রে ৯ হাজার ১৮৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৩ লাখ ৯৯ হাজার ৬৯০ জন পরীক্ষার্থী ছিলেন।

এর মধ্যে নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১১ লাখ ৩৮ হাজার ১৭ জন। এদের মধ্যে দুই লাখ ৫৪ হাজার ৮৩০ জন বিজ্ঞান, ছয় লাখ ৫৬ হাজার ১৩২ জন মানবিক এবং দুই লাখ ২৭ হাজার ৫৫ জন বাণিজ্য বিভাগের।

এছাড়া এক লাখ ১৩ হাজার ১৪৪ জন মাদ্রাসা ও এক লাখ ৪৮ হাজার ৫০৩ জন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের। বিশেষ পরিস্থিতিতে এবার সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে গ্রুপভিত্তিক তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ে ছয়টি পত্রে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সময় কমিয়ে আনা হয় দেড় ঘণ্টায়। পরীক্ষা না নেয়া হয়নি বাংলা ও ইংরেজির মতো আবশ্যিক বিষয়গুলোর; যেগুলোর মূল্যায়ন করা হবে জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে।